মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ইসরায়েল সফর করেছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিয়নের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণের পরে তাকে স্বাগত জানায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু—তবু নেসেটে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্প কঠোর অপমান ও প্রতিবাদের মুখোমুখি হন।
স্থানীয় সময় সকালে তেল আবিয়বে পা রাখার পর নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ট্রাম্প পার্লামেন্টে গিয়ে ভাষণ দেওয়ার চেষ্টা করলে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। বক্তব্যের মাঝেই আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ প্রতিবাদ হিসেবে একটা কাগজ উঁচুতে ধরে দেখিয়ে বলেন, “আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন।” ঘটমান উত্তেজনা থামানোর জন্য নেসেট স্পিকার আমির ওহানা আইনপ্রণেতাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং প্রতিবাদকারী আইনপ্রণেতাকে দ্রুত পার্লামেন্ট থেকে টেনে বের করে দেওয়া হয়।
ঘটনা-পরবর্তী বিশৃঙ্খলার পরও ট্রাম্প বক্তব্য চালিয়ে গিয়ে গাজায় আসা যুদ্ধবিরতি ও স্থিতিশীলতাকে ‘ঐতিহাসিক ভোর’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “আজ আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব — পবিত্র ভূমিতে এখন শান্তি বিরাজ করছে,” এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ‘অসাধারণ সাহসী মানুষ’ হিসেবে সমাদর জানান।
আরও
অপরদিকে, ট্রাম্পের বক্তৃতার আগে আয়মান ওদেহ তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লেখেন যে পার্লামেন্টের ভিতরে যে নাটকীয়ভাবে নেতানিয়াহুকে প্রশংসা করা হচ্ছে তা সহ্য করা যায় না; এতে গাজার মানবতাবিরোধী ঘটনার দায় কখনও লঘু হবে না। তিনি জানান, তিনি সেখানে আসা শুধু যুদ্ধবিরতি ও সামগ্রিক চুক্তির পক্ষে; ন্যায়, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দরকার দখলদারিত্বের অবসান ও ইসরায়েলের পাশে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া।










