সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে গোষ্ঠীগত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকারি বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানায়, এ বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রিয়াদ মনে করছে, সুয়েইদায় সেনা মোতায়েন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সক্রিয় হলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে—এমন বিশ্বাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতার অনুরোধ জানায় সৌদি আরব। বিশেষ করে সুয়েইদা অঞ্চলে সেনা পাঠানোর পক্ষে স্পষ্ট সমর্থন দেয় তারা।
আরেকটি সূত্র জানায়, ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও সুয়েইদায় বিমান হামলা চালানোর পর বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রিয়াদ। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এক ফোনালাপে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা’র সঙ্গে কথা বলেন এবং ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় শারা যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তাও স্বাগত জানান যুবরাজ।
আরও
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সংঘাতের পেছনে রয়েছে সুন্নি বেদুঈন এবং সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের বিরোধ। সম্প্রতি অপহরণের অভিযোগ ঘিরে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। এ অবস্থাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার অজুহাতে হামলা চালায়, যা আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
উল্লেখ্য, সুয়েইদা শহরটি সিরিয়ার বৃহত্তম দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে প্রায় সাত লাখ দ্রুজ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। কিছু মাস আগেও এই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দ্রুজ গোষ্ঠীর সদস্যরা, যা সিরিয়ার জন্য বিরল ও অস্বাভাবিক ঘটনা ছিল। উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করতে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে সৌদি আরব।











