ইরানের সাম্প্রতিক হামলার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ঘিরে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই দাবি করছেন, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, কেউ কেউ বলছেন—তিনি নিরাপত্তার জন্য বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত নানা পোস্টে নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ইসরাইলিরাও। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মরিয়া হলেও সাধারণ মানুষের জীবনের গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনেকে দাবি করেছেন, তার ছেলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অবস্থান করছেন।
এছাড়াও কিছু সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী একটি বিশেষ বিমানে চেপে দেশ ত্যাগ করেছেন এবং গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছেছেন। বিমানটি একটি যুদ্ধবিমানের সহায়তায় সেখানে অবতরণ করে। এই দাবিগুলো সেই আগের প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে বলা হয়েছিল তিনি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন
গুজব ছড়ানোর পর প্রশ্ন উঠেছে—গ্রীস কি যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুকে আশ্রয় দিচ্ছে? উল্লেখ্য, ‘উইংস অব জায়ন’ নামে একটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিমান তেলআবিব থেকে উড্ডয়ন করে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৬ মিনিটে এথেন্স পৌঁছায় বলেও দাবি করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত এইসব খবরের কোনও সরকারি নিশ্চিতকরণ মেলেনি। এসব তথ্য আদৌ সত্য, না কি কেবল গুজব—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ করা এবং সত্য উদঘাটনে সক্রিয় হওয়া।