ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। শুরুতে বৈঠকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে কথিত গণহত্যা নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে তা কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বৈঠকের এক পর্যায়ে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রামাফোসা পরিস্থিতি হালকা করতে রসিকতার ভঙ্গিতে বলেন, “দুঃখিত, আপনাকে উপহার হিসেবে দেয়ার মতো আমার কাছে কোনো বিমান নেই।”
ট্রাম্পও রসিকতার সুরেই জবাব দেন, “ইচ্ছা করলেই নিতাম। যদি আপনার দেশ আমাদের বিমানবাহিনীকে একটি প্লেন দিত, আমি সেটা নিয়ে নিতাম।” কিন্তু এই কথোপকথনের পেছনে ছিল সাম্প্রতিক এক বিতর্কিত প্রেক্ষাপট—কাতার থেকে ট্রাম্পের বিলাসবহুল বিমান উপহার গ্রহণ।
আরও পড়ুন
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে ট্রাম্প একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান উপহার পেয়েছেন বলে দাবি করেন। যদিও প্রশাসন এই উপহারের বিষয়টি স্বীকার করেছে, তবে চারটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করে, ট্রাম্পের বক্তব্য সঠিক নয়। পেন্টাগন পরে নিশ্চিত করে যে, ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমানটি ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং এটি আইনি কাঠামোর মধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি অনেক রিপাবলিকান নেতাও উপহার গ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি স্বার্থের সংঘাতের উদাহরণ এবং কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রচুক্তিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এক সাংবাদিক বিমান উপহার নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প তীব্র প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “তুমি একজন বোকা। তোমার সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা নেই।” প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য নিয়েও সমালোচনা চলছে।