আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, স্মার্টফোনে আসক্তি কিংবা নিছক অভ্যাস—বিভিন্ন কারণে রাত জাগা যেন অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, নিয়মিত রাত জাগা শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তিই ডেকে আনে না, বরং মৃত্যুঝুঁকি থেকে শুরু করে হৃদরোগ, মানসিক অবসাদ, স্মৃতিভ্রংশ এবং যৌন সমস্যা পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কম ঘুমান, তাদের মধ্যে হৃদরোগ ও অন্যান্য সংবহনতন্ত্র-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
ঘুমের অভাব দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঘুম ঠিক না হলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ বাড়ায়। এমনকি কম ঘুম স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে ও শেখার ক্ষমতা হ্রাস করে।
আরও
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ঘুমের অভাব সরাসরি যৌন স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে, আর নারীদের মধ্যে দেখা যায় যৌন আকর্ষণ হ্রাস ও সম্পর্কের প্রতি অনীহা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া, শোবার আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা এবং ঘুমের পরিবেশ শান্ত রাখা—এগুলো স্বাস্থ্যকর ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে, ঘুম কোনো বিলাসিতা নয়, এটি সুস্থ জীবনের অপরিহার্য অংশ। এখনই ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন আনলে ভবিষ্যতের বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।











