ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ ডেনমার্কে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার দায়ে এই প্রথম মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি আদালতে দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে করা হয়েছে ওই মামলা।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত বছরের জুন মাসে কোপেনহেগেনে একটি জনবহুল স্থানে পবিত্র কোরআনের অবমাননা করেন এবং যেখানে তারা এ কাজটি করেছিলেন, সেখানে বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন ছিলেন।
অভিযুক্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিশ্বের দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ডেনমার্কের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদ। তবে কোপেনহেগেনের কোন আদালতে মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। খবর দ্যা ডনের।
আরও পড়ুন
কোপেনহেগেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর লাইস-লোটে নিলাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ ঘটনাটি ঘটেছিল একদম প্রকাশ্যে এবং বহুসংখ্যক মানুষের সামনে। পাশাপাশি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনার লাইভ সম্প্রচারও হয়েছিল। মামলার মূল কারণ এটিই।
তবে কোন আদালতে এ মামলা হয়েছে, তা নিশ্চিত করেননি তিনিও। ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে ডেনমার্কে একাধিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।
দেশটির প্রচলিত আইনে এ ধরনের তৎপরতা অপরাধের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা সে সময় সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এ ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরুর করার পর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় ডেনমার্কের সরকার।
তার ধারাবাহিকতাতেই ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি আইন পাস ডেনমার্কের পার্লামেন্ট। সে আইনে প্রকাশ্যে ও জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা কোনো ধরনের অবমাননা করা এবং তার ভিডিওধারণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।