নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, মামলায় অভিযুক্ত হলে গণহারে গ্রেফতার করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। ইচ্ছাকৃত মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে বাদির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দফতরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের পর বহু মামলা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন, কিন্তু কিছু নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আবার কিছু দোষী পুলিশ কর্মকর্তার চিহ্নিতকরণ এখনো বাকি রয়েছে। ফলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আইজিপি আরও বলেন, দেশের ২ লাখ ১৩ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে কারা দায়িত্বহীন ছিল, তা চিহ্নিত করা কঠিন হলেও তিনি দৃঢ়ভাবে মনে করেন যে, এটি একটি জরুরি কাজ, যা করতেই হবে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান এবং বাহিনীর মনোবল পুনঃস্থাপনের কাজটি শীঘ্রই করা হবে।
আরও
নির্বাচনের প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, পুলিশের প্রথম লক্ষ্য হলো বাহিনীর মনোবল পুনঃস্থাপন এবং জনগণের কাছে তাদের আস্থা অর্জন করা। নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তা করার আগে, পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলার কাজটি সম্পন্ন করতে চান তিনি।
নির্বাচনের জন্য পুলিশের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে, এবং নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুলিশকে যে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা নিশ্চিতভাবে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনেও পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরপেক্ষ, এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, “আমি আগামী সপ্তাহ থেকে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব, তাদের কথা শুনব এবং তাদের মধ্যে থাকা হতাশা ও ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা করব।
একবার পুলিশ বাহিনী শক্তিশালী হয়ে উঠলে, তারপর নির্বাচন বিষয়ক পরিকল্পনা করা যাবে। তবে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের জন্য আমাদের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে, এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই।










