ভৈরবে মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৬ বছরের শিশু। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া চান মিয়া সরকার বাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি প্রকাশ পায় বুধবার।
স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদের অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন আব্দুল কুদ্দুস চাকরি সুবাদে মসজিদের পাশে একটি বাসা নিয়ে সপরিবারে থাকতেন। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশের পর থেকে সপরিবারে পলাতক রয়েছেন তিনি।
স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা পরিবার নিয়ে শহরের একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে শিশুটির মা মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যেতে বলেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিশু মক্তবে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে তার মা মক্তবে যেতে জোরাজুরি করলে শিশুটি নিজে মরে যাবে বলে তার মাকে বলেন।
আরও
এরপরই তার মা বুঝতে পারে তার মেয়ের সঙ্গে কিছু হয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিশু তার মাকে বলে মক্তবের মুয়াজ্জিন প্রতিদিনই তাকে শারীরিক নির্যাতন করত। মঙ্গলবার দুপুরেও শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বুধবার রাতে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন সেখানকার চিকিৎসকরা। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, মসজিদের মক্তবে পড়তে গিয়ে আমার শিশু কন্যাকে প্রতিদিনই শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। তাকে মেরে ফেলবে বলে কাউকে এসব কথা বলতে নিষেধ করেছে। তাই সে এতদিন আমাকে এসব কথা বলেনি। ঘটনায় অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনের কঠিন শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মসজিদের মক্তবের মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ শুনেছি। তবে ভুক্তভোগী স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।










