পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের করাচিতে ভূমিকম্পের সময় নিরাপত্তা শিথিলতার সুযোগে মালির কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন ২১৩ জন কয়েদি। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েদিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সময় হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হলে ওই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই কয়েদিরা পালিয়ে যায়।
করাচিতে রোববার সকাল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা। যদিও প্রতিটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.২ থেকে ৩.৯ এর মধ্যে, তবে টানা কম্পনের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নগরজুড়ে, যার প্রভাব পড়ে কারাগারেও।

আরও
মালির কারাগারের সূত্র অনুযায়ী, মূলত ৪ ও ৫ নম্বর সার্কেলের কয়েদিরাই সংঘর্ষে জড়ান এবং পালানোর ঘটনাটি সংঘটিত করেন। এই সংঘর্ষে কারারক্ষীদের গুলিতে একজন কয়েদি নিহত হন এবং একজন রক্ষী মারাত্মক আহত হন। পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের অধিকাংশই একই সার্কেলের বাসিন্দা ছিলেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ, রেঞ্জার্স, ফ্রন্টিয়ার কর্পস, স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট এবং র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের সমন্বয়ে একটি বিশেষ অভিযানি দল গঠন করা হয়। কারাগারের সুপারিন্টেনডেন্ট আরশাদ শাহ জানান, এ পর্যন্ত ৮০ জন পলাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমানে মালির কারাগারে মোট কয়েদির সংখ্যা ৬ হাজার ২২ জন। সিন্ধ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় কয়েদি পালানোর ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।










