নির্দিষ্ট শ্রেণির ভিসা আবেদনের জন্য আবেদনকারীদেরকে ইংরেজিতে আরও উচ্চ মানের দক্ষতা প্রদর্শনের নিয়ম চালু করা হচ্ছে। দক্ষ কর্মী ভিসা, বিভিন্ন ক্যাটাগরির গ্র্যাজুয়েট জব ও দ্রুত বর্ধনশীল খাতের (‘স্কেল-আপ’) ভিসাসহ কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীদেরকে এখন ইউরোপীয় সাধারণ ভাষা কাঠামো অনুযায়ী বি২ লেভেলের ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ দাখিল করতে হবে। আগের নিয়মে যা বি১ লেভেলে পর্যাপ্ত ছিল, তা এখন শক্তকরে ডাকা হয়েছে। নতুন বিধি আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে যুক্তরাজ্যে জানিয়েছে।
সরকারি ব্যাখ্যা অনুযায়ী এ উদ্যোগ অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও নিয়ন্ত্রিত, স্বচ্ছ ও গুণগতভাবে উপযোগী করার উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে। আবেদনকারীরা অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা বর্ডার এজেন্সির কাছে কথা বলা, শোনা, পড়া ও লেখার দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে ভিসার আবেদন করবেন। উচ্চ-প্রতিভা (High Potential Individual) হিসেবে গণ্য হতে চাইলে চলতি পাঁচ বছরের মধ্যে স্বীকৃত কোনো বিদেশি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনের শর্তে এই ভাষাগত মান পূরণ করতে হবে।
সরকারি ব্যাখ্যার সঙ্গে বাস্তবগত উদ্বেগও আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাষাগত মান বাড়ালে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে আগমনকারী অভিবাসীর সংখ্যা লক্ষাধিক কমে যেতে পারে। বিশেষত মধ্যমানের কারিগরি ও ম্যানুয়াল কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাষার শর্ত আর্থিক-শ্রেনিভিত্তিক কর্মসংস্থানের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে; কারণ এসব কাজে সাধারণত অত্যধিক ভাষাগত দক্ষতা প্রয়োজন হয় না বলে তাঁরা মনে করেন।
আরও
রাজনৈতিক ও আইনি পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিকটতমভাবে শ্বেতপত্রে পরিকল্পিত পরিবর্তনগুলোর কথা উল্লেখ করেন—যা ব্যবস্থাকে আরও ব্যাখ্যাযোগ্য করবে—তবে কিছু আইনজীবী ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এটিকে অস্বচ্ছ ও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। তাদের উদ্বেগ, প্রয়োজনে ইংরেজি দক্ষতার উচ্চ মান নির্ধারণে বাস্তবসম্মত ব্যত্যয় বা সহায়তা না থাকলে বহু দক্ষ প্রার্থী যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও কর্মবাজারে যোগ দিতে বঞ্চিত হতে পারে।










