যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস সম্প্রতি দু’দিনব্যাপী কনস্যুলার সেবা প্রদান করেছে। গত ৩১ মে ও ১ জুন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই সেবা প্রদান করা হলেও ব্যাপক চাহিদার কারণে অনেক ক্ষেত্রে রাত পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
মিশিগানে স্থায়ী কোনো কনস্যুলার অফিস না থাকায় এখানে বসবাসরত লাখো বাংলাদেশির পাসপোর্ট, এনভিআর ও পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সংক্রান্ত সেবা পেতে প্রতিবছর ভ্রাম্যমাণ সেবার উপর নির্ভর করতে হয়। ২০০৩ সাল থেকে স্থায়ী অফিস স্থাপনের দাবি উঠলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি, ফলে প্রবাসীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মিশিগানের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সেবায় অংশ নিতে শুধু মিশিগান নয়, আশেপাশের রাজ্য থেকেও শত শত বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। টোকেন পদ্ধতির মাধ্যমে লাইনে শৃঙ্খলা বজায় রাখায় এবার সেবার গতি কিছুটা বৃদ্ধি পায় বলে জানান আয়োজকরা।
বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ জানান, এই দুই দিনে মোট ৭১১টি আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৮টি ই-পাসপোর্ট, ৩৬২টি এনভিআর এবং ১১টি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সেবা অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল মাসের সেবায় এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১,৮৬০টি।
প্রবাসীরা বলছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সেবা নেওয়াটা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ হওয়ার পর ই-পাসপোর্টের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে মিশিগানে একটি স্থায়ী কনস্যুলার অফিস স্থাপন এখন সময়ের দাবি। সেবা নিতে আসা প্রায় সবাই বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।