দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১২ জুন স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজনরা। ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক এলাকায়।
স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে মালামাল আনলোড করার সময় ইকবালকে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর অপহরণকারীরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রথমে ৫ কোটি এবং পরে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরিবার এত বিপুল অঙ্কের অর্থ দিতে অক্ষমতা জানালে অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। নিহত ইকবালের ভগ্নিপতি শরিফুর রহমান ঢালী জানান, অপহরণের দুদিন পর ইকবালের স্ত্রীর নম্বরে কল করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একাধিকবার দরকষাকষির পরও যখন অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি, তখনই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন
আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছিলেন এবং স্থানীয়ভাবে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। তার পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে, যারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করছেন।
নিহতের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ইকবালের মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় প্রবাসীরা।