অবাধ তথ্য-প্রবাহের যুগে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ফেসবুকও নিত্য নতুন সব ফিচার নিয়ে আসছে। বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই এমন মানুষ পাওয়া কিছুটা দুষ্কর। এই মাধ্যমে নিজের প্রতিটি মুহূর্ত বন্ধুদের কাছে শেয়ার করেন। ভালো-মন্দ অনুভূতির কথা জানিয়ে রাখেন। একান্ত ব্যক্তিগত আলাপও করেন অনেকে। বিপদ বা খুশির মুহূর্ত শেয়ার করে অন্যের কাছে দোয়া চাইতে দেখা যায় অনেককে।
অন্যের কাছে খোলামেলা দোয়া চাওয়ার ব্যাপারটি স্বাভাবিক। ফেসবুকেও চাইলে যে কেউ দোয়া চাইতে পারে। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, অন্যের কাছে দোয়া চাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো মাধ্যম শরিয়তের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। বরং একজন ব্যক্তি অন্যের কাছে যে কোনো মাধ্যমে দোয়া চাইতে পারবে। সে হিসেবে ফেসবুকের মাধ্যমেও দোয়া চাওয়া যাবে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই।
আলেমরা বলেন, কেউ যদি ফেসবুকে নিজের জন্য অথবা নিজের জীবিত বা মৃত বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান ইত্যাদির জন্য দোয়া চায় আর লোকজন কমেন্টে দোয়া করে আশা করা যায় উদ্দিষ্ট ব্যক্তি এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
তবে দোয়া চাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল, নিজে আল্লাহর কাছে হৃদয়ের আকুতি সহকারে দোয়া করা। এ ক্ষেত্রে দোয়া কবুলের শর্তাবলী, আদব এবং দোয়া কবুলের সম্ভাবনাময় সময় ও স্থানগুলোর প্রতি লক্ষ রাখা উচিত।
আর অন্যের কাছে দোয়া চাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হল, পিতামাতা ও নেককার লোকদের কাছে দোয়া চাওয়ার চেষ্টা করা। ফেসবুকের উন্মুক্ত ময়দানে ভালো-মন্দ, নেককার-পাপাচারী নির্বিশেষে সর্বসাধারণের কাছে দোয়া চাওয়ার থেকে উত্তম হল, বাহ্যত যাদেরকে সৎ ও পরহেজগার বলে মনে হয় তাদের কাছে দোয়া চাওয়া। এতে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post