সেপ্টেম্বরে লেবাননে যোগাযোগযন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষেই ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত যোগাযোগযন্ত্র পেজারে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ওমের ডস্ট্রি বলেছেন, লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে অনুমতি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। রবিবার (১০ নভেম্বর) তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই হামলায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া আহাত হয়েছিলেন প্রায় তিন হাজার। হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত সেসব পেজার বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েলের হাত আছে বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করে আসছিলো দলটি। এবার সেই বিষয়টি নিশ্চিত করল ইসরায়েল।
সেপ্টেম্বরের ১৭ ও ১৮ তারিখে লেবাননে একযোগে কয়েক হাজার পেজার বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনাকে হামলা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রথম থেকেই ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে ইরান ও হিজবুল্লাহ।
এই হামলাকে ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছিল হিজবুল্লাহ। তারা যথাযথ প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে।
পেজারের অবস্থান শনাক্ত করা অনেকটাই কঠিন। তাই যোগাযোগের জন্য পেজারকেই বেছে নিয়েছিল হিজবুল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রথম থেকেই হামাস ও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘর্ষ চলমান থাকলেও শেষ দুই মাসে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
শেষ কয়েক সপ্তাহে হিজবুল্লাহকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য লেবাননে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় দলটির দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। এরপর তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি সাফেইদ্দিনকেও হত্যা করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি হামলায় গত এক বছরে প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তার অধিকাংশই মারা গেছেন শেষ দুই মাসে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post