আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে ঘোর অনিশ্চয়তার সামনে পড়বে অন্তত আড়াই লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূতের ভবিষ্যৎ। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রচারে সমানে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হলেই তিনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবেন। বলেছিলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রথম দিনেই আমি যে আইন নিয়ে আসব, তাতে আমেরিকার ইতিহাসে সব থেকে বড় নির্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ সূত্রের খবর, শুধু বেআইনি অভিবাসীরাই নন, ট্রাম্পের লক্ষ্যে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাঁরা আইনসিদ্ধ ভাবেই, কোনও না কোনও ভিসা নিয়ে, আমেরিকায় বসবাস করছেন।
আমেরিকার সংবিধানে বলা আছে, আমেরিকায় জন্মালেই সে আমেরিকার নাগরিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের এই আইনটিই পাল্টে দিতে চাইছেন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম দিনেই একটি ‘এগ্জ়িকিউটিভ অর্ডার’-এ সই করবেন ট্রাম্প। সেই নির্দেশিকায় বলা হবে, আমেরিকায় যে সব অভিবাসী সন্তান জন্মেছে, তারা ‘জন্মসূত্রে’ আর আমেরিকান নাগরিক থাকবে না। মা বা বাবার মধ্যে অন্তত এক জন আমেরিকার নাগরিক হলে তবেই সন্তান এ দেশে জন্মালে ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পাবে।
আমেরিকায় বসবাসকারী অন্তত ১০ লক্ষ ভারতীয় এখন গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডের জন্য আরও অন্তত ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের। ফলে ধরে নেওয়া যায় যে, ৫ লক্ষ ভারতীয়ের গ্রিন কার্ড না পেয়েই মৃত্যু হবে। ট্রাম্পের আনা নতুন আইনের ফলে এই পাঁচ লক্ষ অভিবাসীর আনুমানিক আড়াই লক্ষ সন্তান, যারা আমেরিকায় জন্মেছে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post