মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন ট্রাম্পকে ‘ইডিয়ট’ বলে মন্তব্য করা জেডি ভান্স, যিনি বেশকিছু কারণে ‘বিতর্কিত’ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কম জনপ্রিয় ছিলেন।
‘একেবারেই ট্রাম্পের সমর্থক নই। আমি ওকে কখনওই পছন্দ করিনি’; ‘আমার তাকে নিন্দনীয় বলে মনে হয়’; ‘ওহ গড, একজন ইডিয়ট!’ —ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে ২০১৬ সালে টুইটার (বর্তমানে এক্স হ্যান্ডেল) এবং সাক্ষাৎকারের সময় এমনই মন্তব্য করেছিলেন দেশটির তরুণ রাজনীতিক জেডি ভান্স। একই সময় জেডি ভান্সের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশিত হয়। নাম ‘হিলবিলি এলিজি’। এ বই তাঁকে দেশজুড়ে খ্যাতি এনে দেয়।
ওই সময় জেডি ভান্স বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই ট্রাম্পের লোক নই। আমি কখনোই তাকে পছন্দ করিনি। আমি তাকে নিন্দার যোগ্য মনে করি। হায় ঈশ্বর, তিনি (ট্রাম্প) একজন নির্বোধ মানুষ।’
সেই বছরেই ফেসবুকে তার ল স্কুলের রুমমেট এবং বন্ধু জন ম্যাক্লরিনের (বর্তমানে জর্জিয়ার একজন স্টেট সেনেটর) সঙ্গে কথোপকথনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আমেরিকান হিটলার’ বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাকে।
নিজেকে একজন ট্রাম্পবিরোধী হিসেবে পরিচয় দেওয়া ভান্সকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প নিজের রানিং মেট বা নিজের পরবর্তী প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনীত করায় বেশ শোরগোল দেখা দেয়।
তবে কয়েক বছরের মধ্যেই ট্রাম্পকে নিয়ে ভান্সের মনোভাব বদলে যায়। কট্টর সমালোচক থেকে শুভাকাঙ্ক্ষী বনে যান তিনি। হয়ে ওঠেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে রানিং মেট হিসেবে ভান্সের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
ভান্সের বয়স এখন ৩৯ বছর। ২০২২ সালে তিনি ওহাইওর সিনেটর নির্বাচিত হন। সময়ের পরিক্রমায় ট্রাম্পের সেই ‘কট্টর সমালোচক’ তার ‘রানিং মেট’ হিসেবে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। জেডি ভান্সের এই পরিবর্তন অবাক করেছে অনেককেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post