মার্কিন নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত ৭ অঙ্গরাজ্যে এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কারে আর কোনো আইনি জটিলতা নেই ইলন মাস্কের।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইলন মাস্কের আমেরিকা পিএসি পরিচালিত, ভোটারদের প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন পেনসিলভানিয়ার আদালত।
তবে শুধু ‘ফার্স্ট এবং সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট’-এর সমর্থনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের যারা পিটিশনে স্বাক্ষর করছেন, তাদের এই নগদ অর্থ দেয়া হচ্ছে।
ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে রিপাবলিকান প্রচারণায় অঢেল অর্থ ব্যয় করছেন ইলন মাস্ক। গত মাসে, ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন দশ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এ ধনকুবের।
তবে এর জন্য বাকস্বাধীনতা ও অস্ত্র বহন আইন সমর্থনে একটি পিটিশনে সই করতে হবে ও যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ভোটার হতে হবে। দৈবচয়নের ভিত্তিকে একজনকে এই মোটা অঙ্কের পুরস্কার প্রদান করা হবে।
মাস্কের প্রচার শিবির আমেরিকা পিএসি (পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি) থেকে নেয়া এই উদ্যোগটি সুইং স্টেট রাজ্যগুলোতে এক মিলিয়ন স্বাক্ষর সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। রাজ্যগুলো হলো পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নেভাডা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন এবং নর্থ ক্যারোলিনা।
মাস্কের এ উদ্যোগ রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অতিরিক্ত ভোট নিশ্চিত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন অনেকে। এরই মধ্যে মাস্ক তার প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা পিএসি’তে ৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন, যা ট্রাম্পসহ বিভিন্ন রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রচার তহবিল সংগ্রহ করে আসছে। টেসলার সিইও মাস্ক ইতোমধ্যে সুইং-স্টেটের পিটিশন স্বাক্ষরকারী ভোটারদের মধ্যে ১৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছেন।
পেনসিলভানিয়ার কমন প্লিজ কোর্টের বিচারক অ্যাঞ্জেলো ফোগলিয়েটা এ রায় দেন, যেখানে মাস্কের সহযোগীরা স্বীকার করেন, বিজয়ীদের তাদের সুপার পিএসি’র এজেন্ডার সাথে মানানসই হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটিক জেলা অ্যাটর্নি ল্যারি ক্রাসনার এ প্রক্রিয়াকে ‘একটি জাতীয় নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিত প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং তা বন্ধ করার অনুরোধ জানান। তবে আদালত মাস্কের পক্ষে রায় দেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post