বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারের দমনপীড়নের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, সরকার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে। এই ঘটনাগুলোকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মামলাটি দায়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে। মামলার বাদীরা দাবি করছেন যে, বাংলাদেশের স্থানীয় আদালত এই ধরনের গুরুতর অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে সক্ষম হবে না। তাই তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারের এই কঠোর ব্যবস্থার ফলে দেশে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং অসংখ্য বিক্ষোভকারী নিখোঁজ হয়েছেন। এই নিষ্ঠুরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
মামলার বাদীরা আশা করছেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই মামলাটি গ্রহণ করবে এবং বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের ব্যবস্থা করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post