বিদেশ পাঠানোর নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার মিরপুরের আবু তালেব নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা গোবিন্দপুর গ্রামের খয়ের মন্ডলের ছেলে। কুষ্টিয়া শহরের পুলিশ লাইনের পাশে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।
মিরপুর থানাধীন তালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা গোবিন্দপুর গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ত্যথ জানান ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবু তালেব মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাকরির কথা বলে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেন। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেকেই জমিজমা, স্বর্ণালংকার, গরু-বাছুর বিক্রি করে আবু তালেবের হাতে টাকা তুলে দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
আবু তালেব নানা টালবাহানায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। বছর বছর ঘুরে ভুক্তভোগীরা তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি তারিখের পর তারিখ দিয়ে তাদের হয়রানি করেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, বিদেশে পাঠানোর জন্য উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা গোবিন্দপুর গ্রামের আজিজুলের ছেলের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন আবু তালেব। একই গ্রামের জামিরুলের কাছ থেকে নেন সাড়ে চার লাখ টাকা। বহলবাড়ীয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা, বহলবাড়ীয়া গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে সুমনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা, একই গ্রামের আজিজুলের কাছ থেকে নেন তিন লাখ টাকা। আর চারুলিয়া গ্রামের আনিচ মালিথার ছেলে রঞ্জু আহমেদ ১০ লক্ষ টাকা দেন আবু তালেবকে।
আবু তালেবের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে জীবননাশের হুমকি দেন অভিযোগ করে একজন ভুক্তভোগী বলেন, তাই তিনি নিরাপত্তার জন্য মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং ৭৩৪ তারিখ ১৭/১০/২৪)।
দুই মাসের মধ্যে বিদেশে নেয়ার কথা থাকলেও দুই বছরেও কেউ যেতে পারেননি বিদেশে। এতে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। এমন শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও আবু তালেব। স্থানীয়ভাবে একবার বিষয়টি নিয়ে সালিশ বসেছিল। সেখানেই প্রতারণার শিকার শতাধিক যুবকের অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে আবু তালেবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযাগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post