গত সোমবার শেখ-জাররাহ পাড়া থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ নিয়ে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমতাবস্থায় জেরুজালেম ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (১৬ মে) জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি আরব এই বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি রক্তক্ষয়ী হামলার মুখে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আরেকটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দখলদার দেশটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতায় বুধবারের (১২ মে) এ বৈঠক থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
কূটনীতিকদের বরাতে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ও বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে। হামাস-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে একটি যৌথ ঘোষণার পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টিই একমত হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক বলেন, উদ্বেগ দেখানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠককেই যথেষ্ট বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। কোনো বিবৃতিতে উত্তেজনা কমবে বলে তারা মনে করে না।
আরেকটি সূত্র জানায়, উত্তেজনা কমিয়ে আনতে নেপথ্যে থেকে সবপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি বিপরীত ফল নিয়ে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন একজন মার্কিন দূত।
ইউরোপের চার দেশ নরওয়ে, ইস্তোনিয়া, ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা বন্ধ করতে হবে।
‘গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি এবং গাজা থেকে রকেট হামলায় ইসরায়েলে হতাহত—দুটোই হতাশাজনক ও অগ্রহণযোগ্য।’ বিবৃতিতে ওই চার দেশ আরও জানায়, আমরা পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতিস্থাপন, ধ্বংসযজ্ঞ ও উচ্ছেদ বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে মিশরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিশরের একটি প্রতিনিধি গাজায় ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রচেষ্টা হিসেবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তেল আবিব গেছেন। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা। কারণ গণমাধ্যমের সামনে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই। একই প্রতিনিধিদল প্রথমে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গেও দেখা করেছেন। পরে তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করেন। মিশর এর আগেও উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post