করোনা নিয়ন্ত্রণে ওমানে চলছে কঠোর লকডাউন। এই সময়ে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি না মিললেও শিশুদের পণ্য বিক্রয়ের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে মাস্কাট পৌরসভা। রবিবার এক বিবৃতিতে মাস্কাটে সকল ধরণের শিশুদের পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একইসাথে মাস্কাটের যানবাহন মেরামতের দোকানও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাস্কাট কর্তৃপক্ষ। লকডাউনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নাগরিকদের প্রয়োজনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে মাস্কাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে, এর ব্যতিক্রম ঘটেনি ওমানেও। করোনার ভয়াল থাবার পর নানা প্রচেষ্টায় যখন ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন, ঠিক তখনই আঘাত হানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কারফিউসহ নানা বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী।
করোনার কারণে এবছরও ওমানে ঈদ উপলক্ষে তেমন কোনো আয়োজন নেই। করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশটিতে দিনের বেলায় চলছে লকডাউন এবং রাতে চলছে কারফিউ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে চরম সংকটের মুখে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। বিশেষকরে ঈদকে কেন্দ্র করে যেসব ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
দোকানপাট বন্ধের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছর এ সময়টাতে যখন মার্কেট গুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকে, তখন শপিংমলগুলো একেবারেই ক্রেতাশূন্য। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক মাস আগেও ব্যবসার হাল কিছুটা ফিরেছিল, কিন্তু বর্তমানে অবস্থা খুবই নাজুক। এদিকে জরুরী কিছু দোকানপাট খোলার অনুমতি দিলেও টেইলারিং, গার্মেন্টস আইটেম ও জুয়েলারি দোকান বন্ধে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post