ওমানে করোনা মোকাবেলায় একদিকে যেমনি চলছে কঠোর আইনের প্রয়োগ। অন্যদিকে চলছে টিকাদানের ব্যাপক প্রস্তুতি। দেশটিতে আগামী মাস থেকেই শুরু হবে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী। আর তাই এখন থেকেই টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নে ওমানের স্কুল, স্টেডিয়াম, কনভেনশন সেন্টার এবং এক্সিবিউশন সেন্টারসহ সরকারী বিভিন্ন স্থানকে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল সাইদী। তিনি বলেন, ‘‘পরিকল্পনাটি জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসাবে জারি করা হয়েছে। এছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে চলবে এই টিকাদান কর্মসূচির প্রচার-প্রচারণা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী জুন গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবে ওমান। ফাইজার / বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের প্রায় ৪.৩৭ মিলিয়ন ডোজ বুকিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গ্লোবাল ভ্যাকসিন জোটের (জিএভিআই) মাধ্যমে আরও ১.৫ মিলিয়ন ডোজ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, “দেশে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৯৫ শতাংশ নাগরিকদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ৬০ বছরের অনেক নাগরিকই এখনো টিকা গ্রহণ করেননি। তাই দ্রুত টিকা গ্রহণের জন্য টিকা কেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
আগামী জুনে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক, তীর্থযাত্রী, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, সরকারী কর্মচারী, রয়্যাল ওমান পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, শিক্ষক-কর্মচারী, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, তেল ও গ্যাস খাতে কর্মরত নাগরিক, বন্দর এবং বিমানবন্দরে কর্মরত নাগরিক এবং বেসরকারি খাতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বলে জানান মন্ত্রী। আল সাইদী আরও বলেন, “প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে কর্মীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post