ওমানে করোনা পরিস্থিতি প্রতিরোধে আজ (৮ই মে) থেকে ১৫ই মে পর্যন্ত দেশটিতে কারফিউ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কমিটি। এ সময়ে বেশকিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান দিনের বেলায়ও খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে। ভোর ৪টা পর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যে সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে সেগুলো হলো:
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা:
• মুদি দোকান
• বেকারি
• ওমানি হালুয়ার দোকান
• কনফেকশনারি
• বাদাম, আইসক্রিম, কর্ণ ও জুসের দোকান
• মাছ, মাংস ও পোল্ট্রির দোকান
• মধু ও হার্বালের দোকান
• খেজুর ও খাবার পানির দোকান
• ফলমূল ও শাকসবজির দোকান
উপরোক্ত সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানে ৩০ শতাংশ ক্রেতা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ওমান সরকার।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান:
• বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা
• পরিবহন ও স্টোরেজ কোম্পানি
• সকল ধরনের কনসুলেন্ট কোম্পানি
• অডিট অফিস
• সানাদ অফিস
• পোস্ট অফিস
• নির্মাণ ও চুক্তিকারী প্রতিষ্ঠান (নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কোনো কর্মী বা শ্রমিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বা সাইট থেকে অনুমতি ছাড়া অন্যকোথাও যেতে পারবেন না)
• বিমা কোম্পানি
• শিপিং ও কাস্টমস অফিস
দেশটিতে কারফিউ চলাকালীন সময়ে ২৪ ঘন্টা খাবার পরিষেবা চালু রাখার অনুমতি পেলো দেশটির সকল রেস্তোরা ও ক্যাফে। নিষেধাজ্ঞার সময় লাইসেন্স কৃত খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে ওমানের সকল রেস্তোরা ও ক্যাফে ২৪ ঘন্টা খাবার ডেলিভারি দিতে পারবেন।
ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান:
• যেসব রেস্টুরেন্টের সাথে ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি আছে, তারা উক্ত ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের খাবার হোম ডেলিভারি দিতে পারবে। তবে যাদের ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি নাই, তারা স্থানীয় পৌরসভা থেকে একটা আলাদা অনুমতি নিয়ে এরপর হোটেলের নিজস্ব স্টাফের মাধ্যমেও ডেলিভারি সেবা প্রদান করতে পারবে। নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ব্যতীত অর্ডারকৃত খাদ্য ডেলিভারি দিতে পারবেনা।
• নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলোকে অবশ্যই তাদের নিজস্ব পরিবহণে কোম্পানির নাম, লাইসেন্সের শর্তাদি এবং কোম্পানির স্টিকার লাগাতে হবে।
অস্থায়ী খাবারের দোকান:
• নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অস্থায়ী খাবারের দোকান (স্ট্রিট ফুড কার) খোলা রাখার জন্য অবশ্যই স্থানীয় সরকার বা পৌরসভার অনুমোদন থাকতে হবে।
• সকল অস্থায়ী খাবারের দোকানকে পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে দোকান পরিচালনা করতে বা এছাড়াও লাইসেন্স কৃত ফুড ডেলিভারি সংস্থার সাথে সমন্বয় করে খাবার ডেলিভারি দিতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপর এক সূত্রে জানাগেছে, টেইলারিং দোকান খোলা রাখতে পারবে, তবে দোকানের ভিতর কোনো গ্রাহক প্রবেশের অনুমতি নেই। শুধুমাত্র পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবেন তারা। এতে আরো জানাগেছে, যেসকল দোকানে সরাসরি গ্রাহক প্রবেশ না করেও ডেলিভারি গ্রহণের মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন, সেসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post