ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।রাজ্যের জিরিবাম জেলার একটি থানায় হামলা চালানো হয়েছে। মেইতেই ও কুকি সশস্ত্র বাহিনীর লড়াইয়ের জেরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যটিতে।
রোববার (২০ অক্টোবর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘাতের কারণে আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর রাজ্যের জিরিবাম জেলা। সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা একটি থানায় ব্যাপক গুলিবর্ষণ করেছে বলে জেলার বোরোবেকরা মহকুমার পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা জিরিবাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বোরোবেকরা থানাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এমনকি একটি বাড়িতেও আগুন দেয় জঙ্গিরা। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিক লোকদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়।
মণিপুরের পুলিশ প্রধান রাজীব সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, জিরিবাম জেলাসহ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মাস খানেক আগেও জিরিবাম জেলায় গুলির লড়াই হয়েছিল কুকি এবং মেইতেইদের। দুইপক্ষের সেই সংঘাতে নিহত হয়েছিলেন পাঁচজন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর রাজ্য।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। সেদিন মেইতেইদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নেমেছিল জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর। সেখান থেকেই সংঘাতের শুরু হয়। সাম্প্রদায়িক এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন ষাট হাজারেরও বেশি মানুষ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post