সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় হওয়া এক চুক্তির আওতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে।শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) গভীর রাতে এ বিনিময়ে উভয় দেশ ৯৫ জন করে মোট ১৯০ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধে দুই পক্ষের যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের ঘটনায় আমিরাতের মধ্যস্থতায় এটি নবম বার হল। খবর আল জাজিরা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিরে আসা রুশ সেনাদের বেলারুশে মেডিকেল চেকআপ করা হয়েছে। রুশ সামরিক বাহিনীর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাস্যোজ্জ্বল সেনারা বাসে উঠছেন।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কিছু লোক ইউক্রেনের পতাকায় জড়িয়ে বাস থেকে নেমে প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যখনই তার জনগণকে রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে, আমরা সেই দিনের কাছাকাছি পৌঁছে যাই যখন রাশিয়ার বন্দিদশায় থাকা সবার স্বাধীনতা ফিরে আসবে।’সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিনিময়কে ‘আমিরাত এবং রুশ-ইউক্রেনের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা ২০২২ সালে প্রায় তিন মাস ধরে বন্দর নগরী মারিউপোল রক্ষায় কাজ করা ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ফ্রন্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে তারা মারিউপোল এবং আজভস্টাল স্টিল ওয়ার্কসকে রক্ষা করেছিল। তখন থেকেই মারিউপোল রাশিয়ার দখলে।
ইউক্রেনের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, রুশ বাহিনীকে গুলি করার দায়ে রাশিয়ার আদালত দোষী সাব্যস্ত ইউক্রেনের মানবাধিকার কর্মী ও সেনা সদস্য মাকসিম বুটকেভিচকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবন্দিদের বিষয়াদি সমন্বয়কারী সংস্থা জানিয়েছে, ফেরত আসা ৪৮ জনকে রাশিয়ার বিচার ব্যবস্থা সাজা দিয়েছে।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেটস বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটি ৫৮তম বন্দিবিনিময়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post