সৌদি আরবে পাচারের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে বরিশাল মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে পৃথক দুইটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহম্মেদ মামলা দুটি তদন্ত করে বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মধ্যে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠি গ্রামের বাসিন্দা রুবেল সিকদারের করা মামলার আসামি দুইজন। তারা হলেন সৌদি প্রবাসী ফরিদপুরের বাসিন্দা পান্নু মৃধা ও তার বাবা রহমান মৃধা।
মামলায় রুবেল অভিযোগ করেন, মাসিক এক হাজার দুইশ’ সৌদি রিয়াল বেতনে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেয়। পরে সৌদি যাওয়ার উদ্দেশ্যে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন তিনি। ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রুবেল সৌদি আরব যায়। সেখানে ১১ মাস বেকার থাকার ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। পরে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে খুন জখমের হুমকি দেয়ায় মামলা করেছেন। বিচারক বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে বাকেরগঞ্জের আড়াইবেকী গ্রামের জলিল হাওলাদারের করা মামলার আসামি চারজন। তারা হলেন সৌদি প্রবাসী মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন ও মেহেদি হাসান, সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন বোন মাহমুদা হোসেন এবং সৌদি প্রবাসী মেহেদি হাসানের বাবা কামাল হাওলাদার।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, মাসিক এক হাজার ৮০০ রিয়াল বেতনে চাকুরির প্রলোভনে জলিলকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে ৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দেয়ায় তাকে এয়ারপোর্ট থেকে নিতে আসেনি। পরে বিষয়টি সৌদি পুলিশকে জানালে তাকে ৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। দেশে ফিরে টাকা না পেলে মামলা করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post