মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘লা টেক বায়োমাস’ দল মহাকাশে উদ্ভিদ জন্মানোর অনন্য উপায় নিয়ে গবেষণা করছে। আর এই দলটিতে রয়েছে লুইসিয়ানা টেক ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্সের বাংলাদেশী পিএইচডি ছাত্র তারিকুজ্জামান। দলটি মানুষের মূত্র ব্যবহার করে মাটি ছাড়া মহাকাশে কৃষি চাষের সম্ভাবনা দেখছে।
বায়োমাস এই গবেষক দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ডা. জোয়ান লিনাম। দলটি পুষ্টির উত্স হিসেবে মানুষের বর্জ্য, বিশেষত প্রস্রাব ব্যবহার করে কীভাবে মাটি ছাড়া ফসল চাষ করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করছে। আর এতে সফলতার মুখ দেখছেন বলেও জানান তারা।
গবেষক দল জানায়, তাদের গবেষণায় কৃত্রিম প্রস্রাবের সাথে উদ্ভাবিত গাছপালাকে প্রচলিত পুষ্টির সাথে তুলনা করা হয়। তারা সরাসরি ‘ঝিল্লি দ্রবীভূতকরণ’ নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা প্রস্রাবকে বাষ্পে রূপান্তরিত করে এবং ঘনীভূত করে, পরে তা সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উদ্ভাবনী কৌশলটি মহাকাশ মিশনের সময় মানুষের বেঁচে থাকা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী ছয় বছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তারা।
লুইসিয়ানা টেক ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্সের এই বায়োমাস গবেষণা দলে রয়েছে ড. জোয়ান লিনাম, ড. আমির ইকবাল এবং পিএইচডি ছাত্র তারিকুজ্জামান। তারা মূলত মাটি ছাড়া ফসল ফলানোর জন্য নতুন পদ্ধতি অন্বেষণ করছেন৷ এই পদ্ধতিটি মহাকাশ গবেষণার জন্য এবং পৃথিবীর বাইরে আবাস স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই পরীক্ষার দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য হলো নভোচারীদের চাঁদের পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করা উল্লেখ করে জোয়ান লিনাম বলেন, সব ঠিকঠাক থাকলে এই কৌশলগুলো ছয় বছরের মধ্যে মহাকাশে স্থাপন করা যেতে পারে।
তারিকুজ্জামান বলেন, এটি সফল হলে বর্জ্যকে ব্যবহারযোগ্য এবং টেকসই পণ্যে পরিণত করা বিশ্বকে আরও সবুজ ও পরিচ্ছন্ন করে তুলবে। এটি অবিশ্বাস্যভাবে সুদূরপ্রসারী প্রভাবসহ একটি ফলপ্রসূ প্রকল্প হিসেবেও মনে করেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post