এটি ‘আয়রন ডোম’, ‘এস-ফোর হান্ড্রেড কিংবা মার্কিন ‘প্যাট্রিয়ট’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার থেকেও বেশি কার্যকর হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্তে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে ভারতের। কখনো তৈরি হয় যুদ্ধ বেধে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও। এবার, সীমান্তে নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদারে ইসরাইলের মতো আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান এপি সিং এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘আয়রন ডোম’ প্রযুক্তি তাদের কাছেও আছে। এই সিস্টেম তৈরি হয়ে গেলে শত্রুপক্ষের দিক থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল ও স্টিলথ যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ড্রোন হামলাও ঠেকানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
‘প্রজেক্ট কুশ’ নামের এই প্রকল্পটির কাজ এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট অর্গানাইজেশন। প্রকল্পের জন্য ২১ হাজার ৭০০ কোটি রুপি অর্থ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
সামরিক গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে ২০২৮-২৯ সাল নাগাদ প্রস্তুত হয়ে যাবে এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে বহুদূর পর্যন্ত নজরদারি করতে পারবে। ১৫০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা মিসাইলকে চিহ্নিত ও ধ্বংস করতেও সক্ষম হবে এটি। শুধু তাই নয়, শত্রুপক্ষের দিকে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতাও থাকবে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, শত্রুর ছোড়া প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারবে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
পাকিস্তানের হাতে এই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও চীনের ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ রয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকদের দাবি, ‘প্রজেক্ট কুশ’ সফল হলে কেবল ‘আয়রন ডোম’ নয়, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-ফোর হান্ড্রেড’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাট্রিয়টের চেয়েও বেশি কার্যকর হবে এটি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post