২ লাখ ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এ বিষয়ে স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন ওয়াজেদ ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব ওয়াজেদ। এতে আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচারবিভাগের কাছে তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬ মাস।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে লবিস্ট নিয়োগের আলোচনায় প্রায়ই সরগরম হয় রাজনৈতিক ময়দান। টানা দেড় দশক ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতার অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব বিস্তারে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পলাতক-গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সঙ্গে করা তার এই চুক্তি মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মার্কিন নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরবে লবিস্ট ফার্ম। যেখানে খরচ হবে দুই লাখ ডলার। গেল ১২ সেপ্টেম্বর ৬ মাসের জন্য এই চুক্তি হয়।
২০০৪ সালে ‘অ্যালকাটেল অ্যান্ড ফা’ নামের এক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যেখানে বলা হয়েছিল জঙ্গিবাদের প্রসারে কাজ করছে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ তা দমন করবে। আর ২০১৯ সালে ব্লুস্টার স্ট্যাটেজিস-সহ একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বিএনপি। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় গণতন্ত্র হত্যা করছে আওয়ামী লীগ।
চায়ের বাজার থেকে তৈরি পোশাক বা যেকোনো পণ্যের বাজার ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম মাধ্যম লবিস্ট ফার্ম। দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ইস্যুতে অন্তত ৩৭৬টি লবিস্ট ফাইলের সন্ধান মিলেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post