বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার না থাকায় হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ফ্রাঙ্ক গার্ডনারকে।
বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার না থাকায় হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ফ্রাঙ্ক গার্ডনারকে। তিনি লট পোলিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বুক করেছিলেন। সেখানে বহুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও তাঁকে কোনও হুইলচেয়ার দেওয়া হয়নি। অবশেষে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁকে টয়লেটে যেতে হয়।
এই ঘটনার কথা নিজেই জানিয়েছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘এটা নাকি ২০২৪। আর এখনও এমন ঘটনায় পড়তে হয়। আসলে আমি ওয়ারশ থেকে ফিরছিলাম। তখন আমার সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটে ফ্লাইটে। ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য আমি হুইলচেয়ার খুঁজি। কিন্তু কোনওভাবেই আমাকে একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি লট পোলিশ এয়ারলাইন্সের তরফে।
Wow. It’s 2024 and I’ve just had to crawl along the floor of this LOT Polish airline to get to the toilet during a flight back from Warsaw as “we don’t have onboard wheelchairs. It’s airline policy”. If you’re disabled and you can’t walk this is just discriminatory. pic.twitter.com/aFuxo89DR5
— Frank Gardner (@FrankRGardner) September 30, 2024
তিনি আরও লিখেছেন, ‘উল্টে আমাকে ফ্লাইট ক্রু জানান, তারা ফ্লাইটের সময় হুইলচেয়ার দেন না। তাই তাদের কাছে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে আমাক কাছে হামাগুড়ি দিয়ে টয়লেটে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনও উপায় ছিল না।
তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ক্রুরা সবাই অনেক সাহায্য করেছে। তাঁরা হুইলচেয়ার না দিতে পারায় ক্ষমাও চেয়েছে। এমনকি এটাও জানিয়েছে যে, এখানে তাঁদের কিছুই করার নেই। কারণ এটা এয়ারলাইন্সের নিয়ম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আপনার উচিত এই বিষয়ে মামলা করা। তাই এখনই একটি আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার বিশ্বের বিপজ্জনক এলাকায় গিয়ে রিপোর্টিং করেন। এক কথায় তিনি সেই জন্যই বিখ্যাত। ২০০৪ সালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুদ্ধের রিপোর্টিং করতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন এবং একটি পা হারান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post