সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক জরুরি প্রশাসনিক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ছবি) ওপর ভিত্তি করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা জানিয়ে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাজন মিয়া, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু আহম্মদ, ইংরেজি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ্ সালমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব।
অন্যদিকে, গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেনকে। বাকি সদস্যরা হলেন: দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিছা পারভিন এবং জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা গণপিটুনির শিকার হন। পরে রাত ১২টার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকায় দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তাকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
নিহত শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই রাতে ভিসির বাসভবনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post