ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সুইস ব্যাংক একাউন্টেরের ৩১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সুইজারল্যান্ড সরকার।
নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বৃহস্পতিবার রাতে সুইস সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালে বেআইনিভাবে শেয়ার ও অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত এক তদন্তের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সুইস কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এক ব্যক্তি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, মরিশাস এবং বারমুডার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় পুরো অর্থই বিনিয়োগ করেছিলো আদানি গ্রুপে। সেই ব্যক্তির একাউন্টই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তবে আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তাদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক, অযৌক্তিক এবং অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে আদানি গ্রুপের মুখপাত্র বলেছেন, আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে উপস্থাপিত ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করছি। আদানি গ্রুপের কোনো সুইস আদালতের কার্যক্রমে কোনো সম্পৃক্ততা নেই, আমাদের কোনো কোম্পানির একাউন্ট কোনো কর্তৃপক্ষের দ্বারা জব্দ করা হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমাদের একথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই যে, আমাদের গ্রুপের খ্যাতি এবং বাজার মূল্যে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি সাধনের জন্য এটি আরেকটি সাজানো এবং জঘন্য প্রচেষ্টা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি এন্টারপ্রাইজের পরিকল্পিত শেয়ার বিক্রির আগে তাদের নিয়ে তীব্র সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর ফলে গ্রুপের শেয়ারের মূল্য ৮৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। একই সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান থেকে ৩৬ নম্বরে নেমে আসেন গৌতম আদানি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post