রাজধানীর হাজারীবাগে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মিজানুর রহমান ওরফে মিজান নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, মিজানের বাবা মৃত তালেব শিকদার। তার বাড়ি কদমতলীর শনির আখড়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিজান নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে র্যাবের টিম সেখানে একটি অভিযান চালায়। এসময় মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৯ সালে হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। এছাড়াও ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন।
এছাড়াও র্যাব-১০ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান র্যাবকে জানিয়েছে যে, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার এক কলেজছাত্রীর সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তাকে ইউরোপের উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মিজান। কোনো একদিন সেই মেয়েকে তার বাসায় আসতে বলে। মেয়েটি সরল বিশ্বাসে তার বাসায় গেলে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। পরে গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে মিজান। এখানেই শেষ নয়, সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি মিজানের প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝতে পেরে রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থানার তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করে। সেই মামলার মিজান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। কিন্তু তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
মিজান বেশ কয়েক বছর প্রবাসে ছিলেন। পরে তিনি দেশে এসে বিভিন্ন মেয়েদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে ইরোপের উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মাধ্যমে ধর্ষণ করতেন। গ্রেফতারের পূর্বে মিজান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post