নতুন করে সৃষ্ট সহিংসতায় জ্বলছে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। কারফিউ জারি করা হলেও শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তাল মণিপুরের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য ছেড়েছেন মণিপুরের গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য। গতকাল বুধবার আসামের গুয়াহাটের উদ্দেশ্যে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল ত্যাগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সমস্ত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
মঙ্গলবার শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর সকাল ১০টার দিকে ইম্ফল ছেড়ে আসামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন মণিপুরের গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য। তিনি আসামের গভর্নর হলেও অতিরিক্ত হিসেবে মণিপুরের দায়িত্বও পালন করেন।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলায় অন্তত ১১ জন হয়। তার জেরে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজ্যের তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তাই পুরো বিশ্ব থেকেই এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন মণিপুর। তাই সেখানে আসলে হচ্ছেটা কী, সে বিষয়ে জানা বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে যে বুধবার ইম্ফলে নতুন করে কোনও বিক্ষোভ ও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কারফিউ জারির পর থেকেই থমথমে অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি।
এদিকে সংঘাত ও সহিংসতায় উত্তাল মণিপুর নিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এমনকি মোদির সরকার এ বিষয়ে উদাসীন বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
এক সংবাদ সম্মেলনে মণিপুর কংগ্রেসের প্রধান কে মেঘাচন্দ বলেন, সরকার মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। ১৬ মাসে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মৌনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। জানায়, গেল প্রায় দেড় বছরে ইউক্রেনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে সফর করলেও সংঘাতে জর্জরিত মণিপুরে আসেননি প্রধানমন্ত্রী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post