দীর্ঘ অপেক্ষার পরে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত হওয়ার আশায় জমে থাকা আবেদনের প্রায় চার লাখ আবেদন সমাধান করতে বৃহৎ পরিকল্পনা আয়োজন করেছে দেশটির অভিবাসন সংস্থা এজেন্সি ফর ইন্টিগ্রেশন মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম (এআইএমএ)।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে একটি বড় কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী অভিবাসন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এই মহাযজ্ঞের। দেশটিতে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই এ মহাযজ্ঞের যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে পুরো দেশব্যাপী পর্যায়ক্রমিকভাবে আরো প্রায় ৩০টি সেন্টার হচ্ছে যাতে দ্রুত এই চার লাখ অভিবাসীর হাতে তুলে দেয়া যায় পর্তুগালের বসবাস অনুমতি বা রেসিডেন্ট কার্ড।
সংস্থাটির প্রধান পেদ্রো পর্তুগাল গ্যাসপার গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ইতোমধ্যে অভিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু হয়েছে আবেদনকারী অধিবাসীরা এবং এই সেন্টারগুলো থেকে প্রতিদিন দুইশর বেশি অভিজ্ঞ কর্মীদের মাধ্যমে এক হাজারেরও বেশি অভিবাসীর সশরীরে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হবে। ফলে খুব দ্রুতই অভিবাসীদের সমস্যা সমাধান করা যাবে এবং সরকারের ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সাল থেকে পর্তুগালে অভিবাসীদের ঢল নামে এবং তাদের সঠিক সময়ে নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার সমাধান করতে দেশটির পূর্ববর্তী অভিবাসন সংস্থা এসইএফ অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে আবেদনের স্তূপ বড় হতে থাকে। তাছাড়া পূর্বের অভিবাসন সংস্থাটিকে পরিবর্তন করে বর্তমান নতুন এআইএমএ রূপান্তর করার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং নতুন সংস্থার কার্যক্রম শুরু করা, শহর ট্রানজিশন পিরিয়ডের সময়ক্ষেপণের কারণে বর্তমানে চার লাখেরও বেশি আবেদন মুলতবি হয়ে রয়েছে।
গত জুন মাসে সরকার ঘোষিত দেশটির অভিবাসন সংস্থা এজেন্সি ফর ইন্টিগ্রেশন মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলামের (এআইএমএ) কার্যক্রম গতিশীল করতে দীর্ঘদিন যাবত মুলতবি থাকা অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়াগুলো সাড়া দিতে তিনশ কর্মী নিয়ে একটি নতুন কমিশন গঠন করা হয়, যা আগামী ২ জুন ২০২৫ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম থাকবে বলে আশা করেন পর্তুগালে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post