সারা দেশে লুট হওয়া ২ হাজারের বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনও। এরমধ্যে রয়েছে অন্তত ৮০০টির মতো পিস্তল। এই ছোট অস্ত্রগুলোই সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। র্যাব বলছে, এসব অস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সন্ত্রাসী আর জলদস্যুদের হাতে চলে যেতে পারে।
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় লুট করা হয় অস্ত্র। এ ছাড়া নরসিংদী ও শেরপুরের কারাগারে হামলার সময়ও খোয়া যায় অস্ত্র।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে, সারা দেশে থানা থেকে লুট করা হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৮২৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। এগুলোর মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারের মতো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি।
র্যাব বলছে, সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা পিস্তলের মতো ছোট অস্ত্র নিয়ে। অন্তত ৮০০ পিস্তল এখনও উদ্ধার করা যায়নি। এগুলো বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও তাদের।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের পরিচালক মুনিম ফেরদৌস বলেন, ‘কিছু কিছু অস্ত্র আমরা এমনভাবে উদ্ধার করেছি যেগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হচ্ছিল। আবার কিছু কিছু অস্ত্র বিক্রি করার সময় উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে কয়েকজনকে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ ও রোহিঙ্গাদের হাতে যাতে এসব ছোট অস্ত্র না যায় সেদিকে নজরদারি রয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধারে এখনও ছাত্র-জনতার সহায়তা চাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাসীদের হাতে এসব অস্ত্র গেলে রাজধানীতে বাড়তে পারে ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অপরাধ।
ডিএমপি ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘খোয়া যাওয়া অস্ত্রগুলোর যত্রতত্র ব্যবহারের একটা শঙ্কা থাকেই। অপরাধীদের হাতে এই অস্ত্র চলে গেলে আমাদের জন্য তা নতুন করে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এসব রোধে যা করণীয় তা প্রতিনিয়ত আমরা করছি।
প্রায় প্রতিদিনই পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে রাজধানীতে। এমন ঘটনায় নগরবাসীকে তথ্য দিয়ে অনুরোধও করেছে ডিএমপি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post