ভারতের পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে পাকিস্তানসহ আরও চারটি দেশ থেকে। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে এ চারটি দেশ থেকে সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে পাঁচ হাজার ১৭৯ টন। চীন, পাকিস্তান, মিশর ও থাইল্যান্ড থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। বর্তমানে বাজারে দেশি ছাড়াও ভারতসহ পাঁচটি দেশের পেঁয়াজ বাজারে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মজুত রয়েছে।
এদিকে, গত দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) পেঁয়াজ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ আদা-রসুন আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর উদ্ভিদ সংগরিনোধ কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে পাঁচ হাজার ১৭৯ টন। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৬৭০ টন এবং আগস্টে চার হাজার ৫০৯ টন এসেছে। চীন থেকে আমদানি হয়েছে ৬৬৭ টন, পাকিস্তান থেকে তিন হাজার ৪৯৮ টন, মিশর থেকে এক হাজার ১১ টন এবং থাইল্যান্ড থেকে পাঁচ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। একই সময়ে আদা আমদানি করা হয় ১১ হাজার ৬৬১ দশমিক ৬৪০ টন।
এর মধ্যে জুলাইয়ে চার হাজার ৯২৩ দশমিক ২০০ টন এবং আগস্টে ছয় হাজার ৭৩৮ দশমিক ৪৪০ টন। চীন থেকে আমদানি হয় সাত হাজার ৮৮৯ দশমিক ৭৫০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৪৮, মিয়ানমার থেকে এক হাজার ৮৬৩ টন, ভিয়েতনাম থেকে ১৮৪ দশমিক ৩৫০ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে এক হাজার ৬৭৬ দশমিক ৫৪০ টন আমদানি করা হয়। এ ছাড়াও একই সময়ে রসুন আমদানি করা হয় ১৮ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৬০ টন। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৯ হাজার ৬৮৭ দশমিক ৬০ ও আগস্টে ৮ হাজার ৭৪৯ টন আমদানি করা হয়। সব রসুন আমদানি করা হয় চীন থেকে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম গনমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। গত দুই মাসে পেঁয়াজের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ আদা এবং রসুন আমদানি হয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে।’
খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজারের এখন অনেক ধরনের পেঁয়াজ আছে। যার মধ্যে বাজারে এখনও আধিপত্য ধরে রেখেছে দেশি পেঁয়াজ। পাশাপাশি বাজারে আছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, মিশর এবং চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। রবিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০৪ থেকে ১০৫ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ৮০, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৮৫ ও চীনের পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি চীন থেকে আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৯৫ টাকায় এবং চীন থেকে আমদানি করা আদা মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদা ১৩০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post