নয় বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে আবারো রোম-ঢাকা রুটে যাত্রা শুরু করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শুরুর দিকে যাত্রী কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে এ রুটে যাত্রীর সংখ্যা। এ অবস্থায় ইতালির অন্যান্য শহরের সঙ্গে সংযোগ ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় সংস্থাটি।
শনিবার রোমে এসব তথ্য জানান বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হোসাইন।
আপাতত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি-ফিউমিচিনো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এ ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও শীঘ্রই দেশটির বিভিন্ন শহরের যাত্রীদের সুবিধার্থে সংযোগ ফ্লাইট ‘চালু করা হবে’ বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানে প্রবাসীদের যাতায়াত করার আহ্বান জানিয়ে আব্দুল্লাহ বলেন, “বিমানে যদি প্রবাসী যাত্রীরা ভালো সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তারা সময় বাঁচাতে নিজ দেশের বিমান বেছে নেবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই সামনে এগোচ্ছি। যেখানে ফ্লাইট শুরুর প্রথম দিকে ৪০-৫০% যাত্রী পেতাম, সেখানে এখন বিমানের প্রতিটি ফ্লাইট প্রায় ভর্তি হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করে।”
দেশটির অন্যান্য শহরে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে সরাসরি ইতালির অন্যান্য শহরে ফ্লাইট পরিচালনার কোন আভাস ঢাকা থেকে আমরা পাইনি। তবে ইতোমধ্যে ইতালির রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা ‘আইটিএ এয়ারওয়েজ’ এর সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছি। যাতে দেশটির মিলান, ভেনিস, নাপোলি ও সিচিলিয়াসহ অন্যান্য সব শহরের বিমানবন্দর থেকে বিমানের ফ্লাইটের কয়েক ঘণ্টা আগে যাত্রীদের রোমে এনে পরে এখান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে পাঠাতে পারি।”
আব্দুল্লাহ বলেন, “নয় বছর পর এবছর রোম-ঢাকা রুটে আবারো যাত্রা শুরু করেছে বিমান। বর্তমানে আমরা এই রুটে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের বিমান দিয়ে যাত্রা পরিচালনা করি। প্রথমাবস্থায় আমাদের যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম ছিলো, কিন্তু বর্তমানে তা অনেক বেড়েছে।
“যেহেতু আমাদের দেশের যাত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যের অনেক এয়ারলাইন্সে যাতায়াত করেন, তাই আমাদের সেবার মানও বাড়িয়েছি। যাত্রীদের সুবিধার্থে আমরা সবকিছু করে যাচ্ছি। এতে আশা করি ভবিষ্যতে এ রুটে আরো অনেক যাত্রী পাওয়া যাবে।”
রোম-ঢাকা রুটের যাত্রী ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি এম কে রহমান লিটন বলেন, “অতীতে বিমানের সেবার মান একটু খারাপ হলেও বর্তমানে তারা মান খুব ভালো করেছে। পরিবার নিয়ে এবারের বিমান ভ্রমণে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। তারা সেবার মান এরকম রাখলে ভবিষ্যতে প্রবাসীরা দেশে যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ বিমানকে প্রাধান্য দেবে।”
যাত্রী সংকটসহ নানা কারণে ২০১৫ সালে ঢাকা-রোম রুটে সেবা বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। পরে এবছর ২৬ মার্চ থেকে আবারও এই রুটে পাখা মেলে বিমান। বর্তমানে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করলেও ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post