বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন দেশের অভ্যন্তরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তার প্রতিধ্বনি বৈদেশিক মাটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছিল।
দেশের এই অস্থিরতা ও সহিংসতা প্রবাসীদের মনে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো মেরামত ও দেশ পুনর্গঠনে বৈধ রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন কুয়েত প্রবাসীরা।
এর আগে, আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসে কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। এসময় দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুরোধ জানান তারা।
তারা জানান, আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে তারা দেশের ঘটনাবলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। দেশের খোঁজখবর না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন প্রবাসীরা।
আন্দোলনের সমর্থনে প্রবাসীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিলেন। অনেকেই অন্য প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করেছেন এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হয়েরানি বন্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দেশের এই সংকটকালীন সময়ে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগই প্রবাসীদের স্বল্প আয়ের সাধারণ শ্রমিক। এসব শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে প্রেরণ, বিমানবন্দরে হয়রানি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানি এবং বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post