এক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। পরিস্থিতি যেন ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাচ্ছে। ভয় আর আতঙ্ক জেঁকে বসেছে সবার মনে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি আজ।
এ কর্মসূচির ঘিরে ঘোষণা করা হয় কারফিউ। কিন্তু কারফিউ প্রত্যাখ্যান করে আজ রাজপথে নামার কথা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফলে রোববারের মতো আজও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
সেই শঙ্কা থেকে রাজধানী ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এর আগে রোববার বিকেলে ফেসবুকে নিজের আইডিতে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে কারফিউ প্রত্যাখ্যান করে লংমার্চ টু ঢাকা সোমবার এ কর্মসূচি পালন হবে বলে জানান।
অন্যদিকে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে এ দিন মাঠে থাকবেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি থেকে জঙ্গি কায়দায় হামলা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন সন্ত্রাসী ঘটনা এবং নৈরাজ্য থামাতে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
নৈরাজ্য দমন করতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সরকার কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা দেখতে চায় না। জান-মালের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত শনিবার একদফা দাবিতে সরকার পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। দাবি আদায়ের লক্ষ্য হিসেবে আন্দোলনকারীরা দেশব্যাপী অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা, হামলা ও সংঘর্ষে পুলিশের ১৪ সদস্যসহ প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসে দেড়শর বেশি প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সমাজবিদরা বলছেন, এত বেশি প্রাণহানি এবং রক্ত স্বাধীনতার পর আর দেখেনি বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় সোমবার কারফিউ প্রত্যাখ্যান করে লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে আরও অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়ে দেশবাসীর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post