ওমানে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। এই পদক্ষেপগুলোর ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে পাওয়া শুরু করেছে ওমান। সম্প্রতি ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছে, দেশটিতে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ বাসায় থেকেই করোনার চিকিৎসা পেয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ওমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৩৭ জন যার মধ্যে প্রায় ৮১৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন।
[the_ad id=”652″]
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক ডা. মরিয়াম আল হিনাইয়ের মতে, দেশের বেশিরভাগ করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। বর্তমানে কেবল ৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন যাদের মধ্যে ১৭ জন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ওমানে বেশিরভাগ করোনা রোগীকে বাড়িতেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। “তিনি আরও বলেন, “এর অর্থ এই নয় যে আমরা সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলি অবহেলা করছি। আমরা চেষ্টা করছি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাসায় সেবা দিতে এতে করে হাসপাতালের সাধারণ কাজের উপর কোন প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুনঃ ২০ জুনের মধ্যে করোনা মুক্ত হবে ওমান : ডিডিআই
করোনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যাওয়া রোগীদের করোনার লক্ষণগুলির পাশাপাশি তার অতীতের সকল রোগ নিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। রোগীরা কেনো করোনায় আক্রান্ত হলো তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে ভাইরাস সংক্রামণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। মূলত যাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তাদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে নিচ্ছে ওমান স্বাস্থ্যবিভাগ। ভাগগুলো হলো: হালকা, মাঝারি ও গুরুতর। দেশটিতে হালকা ও মাঝারি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সফল হবে ওমান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post