ইতালিতে ৩ সন্তানের ভরণপোষণ না দেওয়ায় এক প্রবাসী বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার সাবেক স্ত্রী।
হবিগঞ্জের ছেলে শোয়াইব হক চৌধুরীর (৩৮) বিরুদ্ধে ঢাকার ডেমরা এলাকার মেহজাবিন মুনিয়ার (৩০) করা এ মামলার তদন্ত করছে ইতালির পুলিশ।
২০২২ সালের নভেম্বরে রোমের তুসকোলোনা থানা পুলিশের কাছে করা এ মামলা এখনও রায়ের অপেক্ষায়। এ অবস্থায় সম্প্রতি মুনিয়া ইতালিতে তার ৩ সন্তান নিয়ে ‘মানবেতর জীবন-যাপন’ করছেন বলে প্রবাসী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি সামনে আসে।
২০১৪ সালে শোয়াইবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মুনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর ইতালিতে আসেন তারা। এদেশে আসার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘বনিবনা না হওয়ায়’ ২০২২ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ততদিনে তারা ৩ সন্তানের জনক-জননী।
মুনিয়া অভিযোগ করেন, বিচ্ছেদ হলেও সন্তানদের ভরণপোষণ না দেওয়ায় ‘মানবেতর জীবন-যাপন’ করছেন তিনি। তাদের বাবার কাছে খরচ চাইলেও তা দিতে তিনি অস্বীকার করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শোয়াইব হক চৌধুরী বলেন, “মামলার বিষয়ে আদালত থেকে যা রায় আসে আমি সে অনুযায়ী কাজ করবো। তারপরও মাঝে মধ্যে আমি কিছু খরচ পাঠাই।”
কিন্তু মুনিয়া বলেন, “শোয়াইবের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয় না। বর্তমানে নিজের একটি আরবি শিক্ষার অনলাইন প্রতিষ্ঠান থেকে সামান্য আয়ের মাধ্যমে আমার ৩ সন্তানের ভরণপোষণ চলছে।”
ইতালির সংবিধান অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের পর স্বামীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক স্ত্রীকে দিতে হয় এবং প্রতি মাসে স্বামীর আয়ের ২৫ শতাংশ সাবেক স্ত্রী পান। এছাড়া প্রত্যেক সন্তানের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ২৪০ ইউরো থেকে ৬৪০ ইউরো পর্যন্ত খরচ দেওয়ার আইন রয়েছে।
তবে এ সবকিছু নির্ভর করে বাবার আয়ের উপর। যদি কোনো ক্ষেত্রে বাবা আয় করতে অক্ষম থাকেন, তাহলে এই খরচ ইতালির সরকার বহন করে। এছাড়া দেশটিতে বসবাসরত প্রতিটি শিশুর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত পারিবারিক আয়ের উপর নির্ভর করে সরকার ১৪০ থেকে ২৫০ ইউরো পর্যন্ত খরচ দিয়ে থাকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post