শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী সহিংসতা, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাই মাসে রেমিট্যান্সে পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে আট কোটি ডলার। কিন্তু গত জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবাস আয়-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রেক্ষাপটে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব প্রচারণা এখন তুঙ্গে। বাংলাদেশ মিশনসহ কমিউনিটি নেতারা এসব প্রচারণা থেকে সাবধান থাকার জন্য প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, গুজবের জবাব দিতে হবে তথ্য দিয়ে। সত্যেই হচ্ছে মিথ্যার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জবাব। এটি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবসময় দিয়ে এসেছে, এখনও দেবে। তারা আরও বেশি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তারা দেশ প্রেমেরে প্রমাণ তারা দেখিয়ে দেবে।
এদিকে, শুধু রেমিট্যান্স নিয়ে নয় বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট, ইমিগ্রেশন ও শুল্ক বিভাগ নিয়েও কিছু প্রবাসী সামাজিম মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন অনেক প্রবাসী।
প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। তাদের প্রত্যাশা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ আবারও বাড়বে।
সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকও এ বিষয়ে প্রবাসীদের অনুরোধ করেছেন তারা যেন বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান। তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স না পাঠালে সেটি দেশের ক্ষতি, পরিবারের ক্ষতি। এ বিষয়ে গুজব না ছড়াতেও অনুরোধ করেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post