কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার পর দেশজুড়ে পুলিশি ধরপাকড় অভিযান চলছে। বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মাঝেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে একসঙ্গে ২৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে আগরতলা স্টেশন চত্বর থেকে ওই ২৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরা রেলওয়ে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন দালালও রয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে জিআরপি সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, গ্রেপ্তার ২৩ জনই বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। কী কারণে তারা ত্রিপুরায় এসেছিলেন, তাদের গতিবিধি কী ছিল, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, ওই ২৩ বাংলাদেশি নাগরিক একসঙ্গে কী করছিলেন, এর সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগের বয়স ত্রিশ বছরের নিচে। তাদের মধ্যে ১৯ বছর বয়সী কয়েক জন যুবকও রয়েছেন।
আগরতলা স্টেশন চত্বর থেকে মোহাম্মদ সেলিম রেজা নামের যে দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার বয়সও ২৭ বছর।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেছিলেন, অসহায় কেউ এসে যদি বাংলার দরজা খটখট করেন, তা হলে ফেরানো হবে না। মমতার সেই মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ সরকার।
তার মন্তব্যের কারণে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। পরে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ওই মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা আবারও বলেন, তাকে যেন না শেখানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি।’’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post