দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে প্রবাসীদের মধ্যেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেক প্রবাসী। এ ছাড়া কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাইয়ে রেমিট্যান্সে পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রেমিট্যান্স শাটডাউন নিয়ে প্রায় নিয়মিতই সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোয় আহ্বান জানাচ্ছে সরকার।
এদিকে মাসের প্রথম ১৮ দিনে গড়ে ৮ কোটি ডলার আসলেও গত এক সপ্তাহে প্রবাসী আয় কমে গেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার।
অবশ্য এ সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। প্রবাসীদের ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ প্রচারণা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না।
দীর্ঘদিন দেশে ডলার-সংকট চলছে। এ সংকট কাটাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদ বাড়াতে প্রবাসী আয়সহ বিদেশ থেকে অর্থ আনতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় তদারকি কমিয়ে দিয়েছে।
পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অর্থ বৈধপথে দেশে আনার ক্ষেত্রে যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা শিথিল করেছে। গত কয়েক মাসে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল প্রবাস আয় দেশে আসার ক্ষেত্রে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post