ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের একটি বিশাল চালান ওমানে পৌঁছেছে। শনিবার (৩০-জানুয়ারি) রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে এক লাখ ডোজের একটি চালান ওমানের মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছায়।
প্রতিবেশী এবং বন্ধু দেশগুলিতে ওষুধ দেওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসাবে ওমানে এই ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “আগামী দিনে আমরা ওমানকে আরো ১০ লক্ষ ডোজ দিবো, এ ছাড়াও ক্যারিবীয় সম্প্রদায়ের (ক্যারিকোম) জন্য পাঁচ লাখ, নিকারাগুয়ায় ২ লক্ষ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে ২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। ২০ শে জানুয়ারির পর থেকে আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ৫.৫ মিলিয়নেরও বেশি করোনা ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন আরো দেওয়া হয়েছে ভুটানের দেড় লক্ষ, মালদ্বীপে এক লক্ষ, নেপালে এক মিলিয়ন, বাংলাদেশের দুই মিলিয়ন, মিয়ানমারে দেড় মিলিয়ন, সেশেলসকে ৫০ হাজার এবং শ্রীলঙ্কায় পাঁচ লাখ।
এছাড়াও সৌদি আরব, কানাডা এবং মঙ্গোলিয়াসহ অন্যান্য দেশেও বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। বাণিজ্যিক পর্যায়ে বাংলাদেশ, ব্রাজিল এবং মরক্কোতে রফতানি হয়েছে।
আমরা আফ্রিকাতে ১০ মিলিয়ন এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (জিএভিআই) আওতায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্য-কর্মীদের এক মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছি।”
এদিকে, ভারতের এই ভ্যাকসিনকে যথেষ্ট নিরাপদ বলে উল্লেখ করেছেন ওমানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল সাইদী। ওমানের মজলিস আশ শূরাকে মন্ত্রী বলেন, “করেনা ভ্যাকসিন যথেষ্ট নিরাপদ।
এছাড়াও ভ্যাকসিনের মান এবং প্রোটোকলের সাথে মেনে চলেছে এমন ভ্যাকসিনই আমদানি করবে ওমান। সেই হিসেবে ভারত থেকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের এক লক্ষ ডোজ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post