কোটা আন্দোলনের ভয়াবহ গ্যাড়াকলে পড়ে স্বজন ছেড়ে বিদেশ যাওয়ার আগ মুহূর্তে রাজ্যের দুঃশ্চিন্তাকে পাশে রেখে রাত কাটিয়েছেন বিমানবন্দরের বারান্দায়। অথচ এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবস্থা তো এমন হওয়ার কথা ছিল না।
তাদের পাঠানো ডলার, দিনার, রিয়াল, রিঙ্গিতের মতো বৈদেশিক মুদ্রায় স্ফীত হয় আমাদের রিজার্ভ। শুধু আমদানি দায় মেটে না, শোধ হয় বিদেশি ঋণের কিস্তিও।
তবে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত কাটানোর চিত্র কিন্তু সব সময়ের না। প্রবাসীদের কাঙিক্ষত সেবা দিতে অবহেলা নিয়ে বছরজুড়ে যে অভিযোগ ওঠে, তার নমুনা মাত্র। যা আরেকবার দেখা গেল এবারের ছাত্র আন্দোলন, সহিংসতা আর দেশব্যাপী চলা কারফিউয়ের মতো বিশেষ সময়ে।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তথ্য না পাওয়ায় জীবন-জীবিকার তাগিদে ফ্লাইট ছাড়ার অনেক আগেই বিমানবন্দরে আসতে হয়েছে বিদেশগামীদের।
প্রবাসীদের মূল্যায়ন করতে না পারলে কাঙিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছবে না প্রবাসী আয়। এমন বাস্তবতায় তাদের দরকারি সেবাকে ভোগান্তিমুক্ত করতে রেমিট্যান্স কার্ড চালুর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ বলেন, যারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা তাদের যদি একটি কার্ড দেয়া হয়, অর্থাৎ এই কার্ড দেখিয়ে শুধু এয়ারপোর্ট না যে কোনো জায়গায় সে যাতে একটা ভালো সার্ভিস পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
কারণ আমাদের দেশে রেমিট্যান্স এর গতি বাড়াতে হবে। ফলে এসব যোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা না বাড়ালে তাদের কাছ থেকে কাঙিক্ষত ফলা আশা করা যাবে না।
যাদের আয়ে শক্তিশালী হয় দেশের রিজার্ভ সেই প্রবাসীরাই বারবার সেবা থেকে বঞ্চিত হন। কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও কারফিউয়ে তা যেন আবারও প্রমাণ হলো। ভোগান্তি কমাতে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কার্ড দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। যদিও প্রতিমন্ত্রীর দাবি, দুর্ভোগ কাঠামোগত দুর্বলতা নয়, প্রচারণার অভাব মাত্র।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post