ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর নাকি বীভৎস? বলা যায় এই সব বিশেষণকেই হার মানায় ওমানের বন্দুক হামলার ঘটনা। পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ এই দেশে এমন হামলার ঘটনা কেউ হয়তো কল্পনাও করেনি। তবে সোমবার রাতে শত শত মানুষকে লক্ষ্য করে বিপথগামী এক বন্দুকধারী প্রমাণ করলেন- সন্ত্রাসীরা দেশ কাল ধর্ম কিছুই বোঝেননা!
ঘটনাস্থলের কাছেই থাকেন প্রবাসী বাংলাদেশি গালিব। তিনি বলেন, ” রাত ৮-৯ টার দিকে হটাৎ ওমানিরা আইসা বলতে লাগলো তোমরা বিল্ডিংয়ে ঢুকে যাও, দরজা জানালা আটকায়ে ফেলো। অনেক গোলাগুলি হইতেছে।” তার বর্ণনায়, “কাল রাতের ওয়াদি কবির ছিলো এক ভয়াবহ আতঙ্কের।”
বন্দুক হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা এক পাকিস্তানির পরিবারও আক্রান্ত হন। মোবাইল ফোনে তিনি এক ব্যক্তিকে বলছিলেন, ” স্যার, আমরা শেষ হয়ে গেছি স্যার! সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করছে, হাজারও মানুষ ছিলো। আমার ছেলের গায়ে গুলি লাগছে। সবাই পাকিস্তানি স্যার, কয়েকশর বেশি পাকিস্তানি ছিলো। এখনো ফায়ারিং চলছে, পুলিশরে খবর দেন। আমার পরিবার অনিরাপদ স্যার”
এদিন বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৪ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। একটি ভিডিওতে গুলির সময় লাব্বাইক ইয়া হুসেইন আওয়াজ শোনা গেছে। প্রবাস টাইমের কাছে আসা তথ্য অনুসারে, এদিন আশুরাকে কেন্দ্র করে মসজিদের পাশে জড়ো হয় শিয়াপন্থি কয়েকশ মানুষ। আচমকা একজন বন্দুকধারী এলোপাতারি গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো জমায়েত। জীবন বাঁচাতে যে যার মত ছোটাছুটি করতে থাকেন। এরমধ্যেই অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। পুরো ঘটনার আকস্মিকতা ভুক্তভোগীদের বর্ণনাতেই আন্দাজ করা যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post