অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিতাস গ্যাসের পিয়ন (অফিস সহায়ক) জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে খালাস পেয়ে যান পিয়ন জহিরুল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– মোসা. সেলিনা আক্তার, মোসা. আকলিমা আক্তার ও মোসা. আছমা আক্তার। রোববার (৭ জুলাই) কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তিন স্ত্রীকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জহিরুল।
জানা গেছে, পিয়ন জহিরুল ইসলাম ও তার তিন স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুমিল্লা কার্যালয় থেকে ৩টি মামলা করা হয়। দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, ৩টি মামলায় স্ত্রীদের সঙ্গে জহিরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়।
মামলার রায়ে পিয়নের স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তৃতীয় স্ত্রী আসমা আক্তারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। তবে খালাস পেয়ে যান পিয়ন জহিরুল।
প্রসঙ্গত, জহিরুল ইসলাম ঢাকায় তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) পদে কর্মরত। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post