সৌদি আরবের জেদ্দা ও জিজানে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১২ বিদেশী ও ২ সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাদক চোরাচালান ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত গ্রেফতার ১৪ জনকে মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি। রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
সৌদি আরবের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জানিয়েছে, ৩.৩ কেজি উচ্চ আসক্তি সৃষ্টিকারী উদ্দীপক মেথামফেটামিন, ১২ হাজার ৪৩২টি অ্যামফিটামিন ট্যাবলেটসহ তাদের গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের রাজধানী থেকে এ সাত বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া অ্যামফিটামিনের ২১ হাজার ট্যাবলেট চোরাচালানের দায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা দেশটির বন্দর নগরী জেদ্দায় দুই সিরিয়ান নাগরিক এবং একজন সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।
পৃথক একটি অভিযানে, সৌদি আরবের মদিনায় এমফিটামিনের ৭৫ হাজার ৬০০ ট্যাবলেটসহ একজন প্রবাসী এবং একজন সৌদি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিজানের সীমান্ত লঙ্ঘনকারী দুই ইথিওপিয়ানকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা। তারা ৪০ কেজি কাত নামক উদ্দীপক সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সৌদি আরব মাদক চোরাচালানকারী এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন জোরদার করেছে। যাকে “মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” বলা যাচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, সৌদি জাকাত, ট্যাক্স এবং কাস্টমস অথরিটি (জাটকা) জানায়, জেদ্দা বন্দরের কাস্টমস পরিদর্শকরা একটি চালানে লুকানো ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮টি ক্যাপ্টাগন পিল পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে।
মে মাসে, সৌদি মাদকবিরোধী পুলিশ কংক্রিটের ব্লকের একটি চালানে লুকিয়ে রাখা ৪৭ লাখ অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট জব্দ করেছিল এবং এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত দুই বিদেশিকে গ্রেফতার করেছিল।
সেই মাসে শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তারা জেদ্দা বন্দরে আগত আলুর চালানে কোকেন পাচারের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলো মাদক চোরাচালান এবং পাচার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post